Health Tips

 

Heart Attack at Young Age: ৪০ পার করতে না করতেই সিঁধ কাটছে হার্ট অ্যাটাক! যুবসমাজে হৃদরোগের প্রকোপ বাড়ছে কেন?


Heart Attack Symptoms: শীত পড়তেই বাড়ছে রক্তচাপ ও হৃদরোগের আশঙ্কা। তবে শীত হোক বা গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, বর্তমানে ৩০ ঊর্ধ্ব, চল্লিশোর্ধ্ব মহিলা পুরুষদের মধ্যে বাড়ছে হৃদরোগের আশঙ্কা। সেই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরাও। আমাদের আশপাশে প্রতিনিয়ত ঘটছে এমনই একাধিক ঘটনা। উচ্চবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত সমস্ত ধরনের অর্থনৈতিক স্ট্যাটাসের মানুষের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে এই সমস্যা। কোন বিষয়ে সাবধানতা দরকার জানালেন চিকিৎসকেরা। 

why heart attack is increasing in young age
Heart Attack at Young Age: ৪০ পার করতে না করতেই সিঁধ কাটছে হার্ট অ্যাটাক! যুবসমাজে হৃদরোগের প্রকোপ বাড়ছে কেন?

জীবনযাত্রার মান নিয়েই রয়েছে হাজার প্রশ্ন

জীবনযাত্রার মান নিয়েই রয়েছে হাজার প্রশ্ন

গত কয়েক বছরে হার্ট অ্যাটাকের গড় বয়স ৪০-এ নেমে এসেছে। আরও মুশকিল হল, যুবক-যুবতীদের মধ্যে অনেকেই হৃদরোগের আগাম লক্ষণ ধরতে পারছেন না। ফলে তাঁদের মধ্যে অনেকেই অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। কিন্তু, প্রশ্ন হল, এত কম বয়সে কেন বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি? চিকিৎসকেদের কথায়, এমন পরিস্থিতির পিছনে অনেকাংশেই দায়ী জীবনযাত্রা। সময়ে না খাওয়া, অধিক ফার্স্টফুড প্রীতির মতো ভুলগুলিই বাড়িয়ে দিচ্ছে হৃদরোগের ঝুঁকি।

সমস্যার অপর নাম কোলেস্টেরল

সমস্যার অপর নাম কোলেস্টেরল

মাত্রাতিরিক্ত ফার্স্ট ফুড এবং রেডি টু ইট খাবারে আসক্ত বর্তমান প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা। আর এই ধরনের খাবারের কারণেই হার্টের হাল হচ্ছে দফারফা। কারণ এই সব খাবারে রয়েছে অত্যধিক পরিমাণে ফ্যাট যা কোলেস্টেরল বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত।

আর রক্তে কোলেস্টেরল বাড়লেই হার্ট বাবাজি হাঁফফাঁস করে। এমনকী হাই লিপিডিমিয়া রোগীদের হার্টের ধমনীতে কোলেস্টেরলের পরত জমতে থাকে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়ে বৈকি।


কাজের প্রেশার ও মানসিক চাপ নিয়ে সাবধান হন

কাজের প্রেশার ও মানসিক চাপ নিয়ে সাবধান হন

বর্তমান যুগে কেরিয়ার তৈরির ইঁদুর দৌড়ে সকলেই ব্যস্ত। আর এই ব্যস্ততাময় জীবনে অত্যধিক মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন তরুণ- তরুণীরা। যার ফলে শরীরে স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এমনকী বিপদসীমা ছাড়িয়ে যায় হাই প্রেশার। আর এই দুই কারণে চাপ বাড়ে হৃৎপিণ্ডের উপর।


পর্যাপ্ত সময় না ঘুমালেই চিত্তির!

পর্যাপ্ত সময় না ঘুমালেই চিত্তির!

মানসিক চাপে পিষ্ট হয়ে অনেকেরই রাতের ঘুম উড়ে যায়। আর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বায়োলজিক্যাল ক্লকের উপরে। আর এর ফল ভোগ করে শরীর। এমনকী হার্ট অ্যাটাক সহ একাধিক রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাও বাড়ে। তাই সাবধান হন এখনই।


ওজন বাড়লেই বিপদে পড়বেন

ওজন বাড়লেই বিপদে পড়বেন

জানলে অবাক হবেন, ওজনের কাঁটা স্বাভাবিকের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই যত দ্রুত সম্ভব ওজন কমাতে হবে। আর এই কাজটি করতে চাইলে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। সেই সঙ্গে পাতে থাকুক লো ক্যালোরি শাক, সবজি এবং ফল। ব্যস, তাহলেই ওজন কমবে বলে বলে।

 

Heart Attack Symptoms: মেয়েদের হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ পুরুষদের থেকে আলাদা, উপসর্গ চিনে সতর্ক থাকুন


Signs of Heart Attack: সময়ে সচেতন  হতে না পারলে এ রোগ ডেকে  আনতে পারে মৃত্যুকেও। হার্ট অ্যাটাকের বিপদ আটকাতে সবার আগে চিনতে হবে উপসর্গ। সময় মতো লক্ষণ চিনে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে এড়ানো যায় জীবনের আশঙ্কা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মহিলারা হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হলে অনেক সময় চেনে লক্ষণ নজর আসে না তাদের শরীরে। মেয়েদের হার্ট অ্যাটাক হলে বুঝবেন কী ভাবে জেনে নিন। 

heart attack symptoms in woman
Heart Attack Symptoms: মেয়েদের হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ পুরুষদের থেকে আলাদা, উপসর্গ চিনে সতর্ক থাকুন

হার্ট অ্যাটাকের একের পর এক কেস জাগাচ্ছে উদ্বেগ। নিঃশব্দ আততায়ীর মতো শরীরে চালায় হামলা। এই সমস্যায় মূলত কলকাঠি নাড়ে উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল। জীবনযাপনে অনিয়মও হার্টের বারোটা বাজাতে সিদ্ধহস্ত। ফলে হার্টের অসুখের এখন আর কোনও নির্দিষ্ট বয়স নেই। ৩৫, ৪০ বছর বয়সেও হার্ট অ্যাটাকের শিকার হচ্ছেন অনেকেই।

শুধু পুরুষদের মধ্যেই নয়, এই অসুখ থাবা বসাচ্ছে নারী শরীরেও। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছেলেদের ও মেয়েদের শরীরে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে ভিন্ন ভিন্ন। আসলে মহিলাদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা বা অস্থিরতা সবসময় অ্যাটাকের প্রধান লক্ষণ হয় না। তাই নারী শরীরে চেনা লক্ষণ চোখে না পড়ায় হার্ট অ্যাটাকের মোক্ষম সময়েও বুঝতে ভুল হয়ে যায়। তাই সচেতনতা বাড়াতে সেই নিয়েই এই প্রতিবেদন। লক্ষণ চিনে সতর্ক থাকলেই এড়ানো যাবে বিপদ। (ছবি সৌজন্য- iStock)

নারী দেহে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ

নারী দেহে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ

হার্টে যে ধমনীর মাধ্যমে রক্ত পৌঁছায়, সেই নালিকার রাস্তায় যদি কোনও বাধা তৈরি হয় বা কোলেস্টেরলের পরত পড়ে সরু হয়ে যায় ধমনীর রাস্তা তাহলে তৈরি হয় হার্ট অ্যাটাকের পরিস্থিতি। এছাড়া রক্তচাপ, হাইপার টেনশন, সুগার সহ আরও একাধিক উপাদান ট্রিগারের কাজ করে। পুরুষ হোক বা মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই হার্ট অ্যটাকের পিছনে আসল খলনায়ক এরাই।



বিশেষজ্ঞদের মতে, মহিলাদের ক্ষেত্রে অ্যাটাক হলে বুকে ব্যথা, অস্থিরতার থেকেও বেশি নজরে আসে শ্বাসকষ্ট। আচমকা মনে হয় বুকে কিছু একটা যেন চেপে বসেছে। কারও কারও ক্ষেত্রে লাগাতার বমি, পেট ব্যথা, পিঠ ও চোয়ালে ব্যথারও সমস্যা দেখা দেয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, কখনও অস্বাভাবিক ক্লান্ত লাগলে, পিঠে বা বুকে হলে এড়িয়ে যাবে না। নারী দেহে অ্যাটাকের আগে এই ইঙ্গিতও মেলে।

আরও পড়ুন- চোখের সামনে প্রিয়জনের আচমকা হার্ট অ্যাটাক হলে কী করণীয়? জীবন বাঁচানোর উপায় জানালেন চিকিৎসক


মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের কারণ

মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের কারণ

নারী শরীরে প্রাথমিকভাবে হার্ট অ্যাটাকে কলকাঠি নাড়ে হাইপার টেনশন, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা ও কোলেস্টেরলের সমস্যা। এছাড়া জীবনযাপনের ধারা, স্ট্রেস, অবসাদও প্রভাব ফেলতে পারে হৃদযন্ত্রে। কোনও কোনও সময় বিশেষ বিশেষ ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াতেও বারোটা বাজে হৃদয়ের। কারণ যাই হোক, তা শীঘ্র নির্ধারণ করে সুস্থ থাকতে যত্নে রাখতে হবে হৃদয়।


কী ভাবে থাকা যাবে সুস্থ?

কী ভাবে থাকা যাবে সুস্থ?

হৃদয় বাবাজিকে চাঙ্গা রাখতে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে রাখতে হবে এর খেয়াল। ডায়াবিটিস, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে তাতে পরাতে হবে লাগাম। ডায়েটও হতে হবে সুষম। মেনোপজের পর যে কোনও মহিলার শরীরেই আসে বিরাট পরিবর্তন। সুস্থ থাকতে এসময় হতে হবে অতিরিক্ত সাবধান। প্রেগনেন্সির জটিলতাতেও চাপ পড়ে হৃদযন্ত্রের উপর। তাই এ সময়েও দরকার বাড়তি সাবধানতা।

জন্ম নিয়ন্ত্রণের ওষুধেও সতর্কতা

জন্ম নিয়ন্ত্রণের ওষুধেও সতর্কতা

বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, কোনও মহিলা দীর্ঘদিন ধরে জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি খেলে তার হৃদযন্ত্রে পড়তে পারে প্রভাব। মার্কিন হার্ট অ্যাসোসিয়েশন বলছে, বার্থ কন্ট্রোল পিল-এর সঙ্গে ধূমপানের অভ্যেস হৃদযন্ত্রের বিপদ বাড়িয়ে তোলে।


জীবনযাপনে দরকার পরিবর্তন

জীবনযাপনে দরকার পরিবর্তন

লাইফস্টাইলও হৃদযন্ত্রের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। নিত্য শরীরচর্চা, সুষম খাদ্য খাওয়ার অভ্যেস না থাকলে শীঘ্রই বারোটা বাজতে পারে হৃদযন্ত্রের। সঙ্গে ভেঙে পড়তে পারে শরীরও। নিয়মিত বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমেও নজরে রাখুন শরীরের অবস্থা। পরিবারে কারও হার্টের সমস্যা থাকলে দরকার বাড়তি খেয়াল। তবেই এড়ানো যাবে বিপদ।

আরও পড়ুন- ৪০ পার করতে না করতেই সিঁধ কাটছে হার্ট অ্যাটাক! যুবসমাজে হৃদরোগের প্রকোপ বাড়ছে কেন?










হার্ট ব্লকেজ 

হার্ট ব্লকেজ, এমন একটি অবস্থা যেখানে করোনারি ধমনীতে রক্ত ​​প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, বুকে ব্যথা বা এমনকি হ্দরোগ হৃৎপিণ্ডের পেশীতে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে। কিছু সাধারণ কারণগুলির মধ্যে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল জমা, এবং দুর্বল জীবনধারা পছন্দ। হার্ট ব্লকের ধরন, উপসর্গ, রোগ নির্ণয় এবং প্রতিরোধের ব্যাপক ধারণা এই অবস্থার সময়মত স্বীকৃতি এবং প্রাথমিক ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করতে পারে। 


হার্ট ব্লক কি?

হার্ট ব্লক, যাকে অ্যাট্রিওভেন্ট্রিকুলার (এভি) ব্লক বা একটি পরিবাহী ব্যাধিও বলা হয়, হৃদপিণ্ডের পেশীতে অক্সিজেন সরবরাহকারী করোনারি ধমনীতে রক্ত ​​​​প্রবাহের বাধাকে বোঝায়। এই ব্লকেজ, সাধারণত দ্বারা সৃষ্ট কোলেস্টেরল জমা, হৃৎপিণ্ডে রক্ত ​​এবং অক্সিজেন সরবরাহ সীমিত করতে পারে, যার ফলে বুকে ব্যথা হতে পারে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। সঠিক রক্ত ​​প্রবাহ পুনরুদ্ধারের জন্য চিকিত্সার মধ্যে জীবনযাত্রার পরিবর্তন, ওষুধ, বা অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি বা বাইপাস সার্জারির মতো আক্রমণাত্মক পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।


হার্ট ব্লকের প্রকারভেদ

বৈদ্যুতিক সংকেত বৈকল্যের পরিমাণের উপর নির্ভর করে তিন ধরনের হার্ট ব্লকেজ রয়েছে: 

ফার্স্ট-ডিগ্রি হার্ট ব্লক: এই প্রকারে, হার্টের বৈদ্যুতিক সংকেত AV নোডের মাধ্যমে স্বাভাবিকের চেয়ে ধীর গতিতে চলে, যার ফলে বিলম্ব হয়। যাইহোক, সংকেত শেষ পর্যন্ত নিম্ন প্রকোষ্ঠে পৌঁছায়, এটিকে হার্ট ব্লকের মৃদুতম রূপ তৈরি করে।

দ্বিতীয়-ডিগ্রী হার্ট ব্লক:

  • টাইপ I (ওয়েনকেবাচের এভি ব্লক): একটি হার্টবিট এড়িয়ে যাওয়া পর্যন্ত বৈদ্যুতিক সংকেত ধীরে ধীরে ধীরে ধীরে হ্রাস পায়। এটি সাধারণত কম গুরুতর বলে মনে করা হয়।
  • টাইপ II (Mobitz Type II): কিছু সংকেত নিম্ন কক্ষে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়, যার ফলে হৃদস্পন্দন অনিয়মিত এবং ধীর হয়। এটি আরও গুরুতর অবস্থা।

তৃতীয়-ডিগ্রি হার্ট ব্লক: এই উন্নত পর্যায়ে, উপরের চেম্বার থেকে বৈদ্যুতিক সংকেত নীচের চেম্বারে পৌঁছাতে সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ হয়। ক্ষতিপূরণের জন্য, নিম্ন কক্ষগুলি তাদের নিজস্ব হৃদস্পন্দন শুরু করতে পারে। যাইহোক, এটি একটি ধীর, অনিয়মিত, এবং কম নির্ভরযোগ্য হতে পারে হৃত্স্পন্দন, উল্লেখযোগ্যভাবে কার্যকরভাবে রক্ত ​​পাম্প করার জন্য হৃদয়ের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।


হার্ট ব্লকের কারণ

একটি হার্ট ব্লক নিম্নলিখিত কারণ হতে পারে: 

  • উচ্চ রক্তচাপ: ধমনীর দেয়ালের বিরুদ্ধে রক্তের শক্তি ধারাবাহিকভাবে খুব বেশি।
  • উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা: অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ধমনীতে জমা হতে পারে, ফলক তৈরি করতে পারে।
  • ধূমপান: তামাকের ধোঁয়া রক্তনালীর ক্ষতি করে, যার ফলে ফলক তৈরি হয়।
  • ডায়াবেটিস: উচ্চ রক্তে শর্করার মাত্রা সময়ের সাথে সাথে রক্তনালীগুলির ক্ষতি করতে পারে।
  • শারীরিক কার্যকলাপের অভাব: নিষ্ক্রিয়তা ওজন বৃদ্ধি এবং হার্টের স্বাস্থ্য সমস্যায় অবদান রাখে।
  • স্থূলতা: অতিরিক্ত শরীরের ওজন এমন অবস্থার কারণ হতে পারে যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
  • হৃদরোগের পারিবারিক ইতিহাস: জিনগত কারণ ব্যক্তিদের হার্ট ব্লক সহ হার্টের সমস্যার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
  • বার্ধক্য: ধমনী স্বাভাবিকভাবেই সংকীর্ণ এবং বয়সের সাথে কম নমনীয় হতে পারে।
  • অস্বাস্থ্যকর ডায়েট: উচ্চ চর্বিযুক্ত এবং উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার গ্রহণ ফলক গঠনে অবদান রাখে এবং পরবর্তীতে তাপ-সম্পর্কিত সমস্যায় ভূমিকা রাখে। 


হার্ট ব্লকের লক্ষণ

আপনি যদি নীচের উল্লেখিত হার্ট ব্লকেজের লক্ষণগুলি অনুভব করেন তবে আপনার একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করা উচিত: 

  • বুকে ব্যথা বা অস্বস্তি
  • নিঃশ্বাসের দুর্বলতা.
  • ক্লান্তি।
  • অনিয়মিত হৃদস্পন্দন.
  • মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
  • ঘাম, বিশেষ করে ঠান্ডা ঘাম।
  • বমি বমি ভাব বা বমি বমি ভাব।
  • বাহু, ঘাড়, চোয়াল বা পিঠে ব্যথা বা অস্বস্তি।
  • বদহজম বা অম্বল।
  • অস্বস্তি বা উদ্বেগের কারণে ঘুমাতে অসুবিধা হওয়া


হার্ট ব্লক নির্ণয়

হার্ট ব্লকেজ নির্ণয় সাধারণত নিম্নলিখিত মূল্যায়ন অন্তর্ভুক্ত: 

  • ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (ECG/EKG):
    • হার্টের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ পরিমাপ করে।
    • অনিয়ম বা অপর্যাপ্ত রক্ত ​​প্রবাহের লক্ষণ সনাক্ত করে।
  • স্ট্রেস টেস্ট (ইসিজি ব্যায়াম):
    • শারীরিক পরিশ্রমে হৃদয়ের প্রতিক্রিয়া পরিমাপ করে।
    • অবরোধ সনাক্ত করতে সাহায্য করে যা বিশ্রামে স্পষ্ট নাও হতে পারে।
  • ইকোকার্ডিওগ্রাম:
    • আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহার করে হৃৎপিণ্ডের ছবি তৈরি করা।
    • হার্টের কার্যকারিতা, ভালভের সমস্যা এবং রক্ত ​​প্রবাহের অস্বাভাবিকতা মূল্যায়ন করে।
  • করোনারি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি:
    • করোনারি ধমনীতে কনট্রাস্ট ডাই ইনজেকশন করা জড়িত।
    • এক্স-রে ছবি ধারণ করে, ব্লকেজ এবং তাদের তীব্রতা প্রকাশ করে।


হার্ট ব্লকেজের চিকিৎসা 

হার্ট ব্লকেজের চিকিৎসা সম্পূর্ণভাবে ব্লকেজের তীব্রতার উপর নির্ভর করে। ডাক্তার অবস্থা বিশ্লেষণ করবে এবং সর্বোত্তম চিকিত্সার পরামর্শ দেবে। হার্ট ব্লকেজের পর্যায়ের উপর ভিত্তি করে চিকিত্সা নিম্নরূপ: 

প্রথম-ডিগ্রি হার্ট ব্লক:

  • সাধারণত, এই সময়ে চিকিত্সার প্রয়োজন হয় না। 
  • কোনো পরিবর্তনের জন্য পর্যবেক্ষণ সুপারিশ করা যেতে পারে.

দ্বিতীয়-ডিগ্রী হার্ট ব্লক:

  • চিকিত্সা উপসর্গের ধরন এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে।
  • লক্ষণীয় হলে, হার্টের ছন্দ নিয়ন্ত্রণের জন্য পেসমেকারের পরামর্শ দেওয়া যেতে পারে।

থার্ড-ডিগ্রি হার্ট ব্লক:

  • এটি একটি গুরুতর অবস্থা হিসাবে বিবেচিত হয় যার জন্য চিকিত্সা প্রয়োজন।
  • জরুরী পরিস্থিতিতে প্রায়ই নিয়মিত হার্টবিট বজায় রাখার জন্য পেসমেকারের প্রয়োজন হয়।

পেসমেকার ইমপ্লান্টেশন:

  • প্রয়োজনে দ্বিতীয় এবং তৃতীয়-ডিগ্রী ব্লকের জন্য প্রস্তাবিত।
  • কার্ডিওলজিস্ট বা ইলেক্ট্রোফিজিওলজিস্ট দ্বারা আলোচনা করা বিশদ, প্রকার এবং প্রত্যাশা।


হার্ট ব্লকের জটিলতা

যদি হার্ট ব্লকেজের চিকিত্সা না করা হয় তবে এটি জটিলতার কারণ হতে পারে যেমন:

  • হার্ট অ্যাটাক: চিকিত্সা না করা হার্ট ব্লকেজের ফলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
  • হার্ট ফেইলিউর: হার্ট ব্লক হার্ট ফেইলিওর হতে পারে, যা হার্টের কার্যকরীভাবে রক্ত ​​পাম্প করার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
  • এনজাইনা (বুকে ব্যথা): ক্রমাগত বুকে ব্যথা (এনজাইনা) হতে পারে।
  • বর্ধিত স্ট্রোকের ঝুঁকি: চিকিত্সা না করা ব্লকেজ স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

এই জটিলতাগুলি প্রতিরোধ করার জন্য সঠিক চিকিৎসা মনোযোগ চাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।


হার্ট ব্লকেজ প্রতিরোধ করা যাবে?

হ্যাঁ. স্বাস্থ্যকর জীবনধারা পছন্দ করার মাধ্যমে হার্ট ব্লকেজ প্রতিরোধ করা যেতে পারে, যেমন নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ, একটি সুষম খাদ্য বজায় রাখা যাতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকে এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকে। উপরন্তু, উচ্চ রক্তচাপের মতো অবস্থার ব্যবস্থাপনা এবং ডায়াবেটিস এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ। একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে নিয়মিত মেডিকেল চেক-আপগুলি চলমান পর্যবেক্ষণ এবং সম্ভাব্য ঝুঁকির কারণগুলি মোকাবেলা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা হার্ট ব্লক হতে পারে।


উপসংহার

হার্ট ব্লকেজ গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে, তবে এর প্রভাব জীবনধারা পরিবর্তন, ওষুধ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি (যদি প্রয়োজন হয়) দ্বারা পরিচালিত হতে পারে। হার্ট ব্লকেজের সাথে যুক্ত জটিলতা রোধ করার জন্য দ্রুত চিকিৎসা সহায়তা চাওয়া, স্বাস্থ্যকর পছন্দ করা এবং ঝুঁকির কারণগুলি মোকাবেলা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কার্ডিওলজিস্টদের সাথে নিয়মিত পরামর্শ কার্ডিওভাসকুলার অবস্থার প্রাথমিক সনাক্তকরণ এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনায় অবদান রাখে।


বিবরণ

1. হার্ট ব্লকেজ নিরাময় করা যেতে পারে?

হার্ট ব্লক পরিচালনা করা যেতে পারে, তবে এটি এর তীব্রতার উপর নির্ভর করে। ছোটখাটো ব্লকেজকে ওষুধ, জীবনযাত্রার পরিবর্তন ইত্যাদি দিয়ে পরিচালনা করা যেতে পারে, তবে বড় বাধার জন্য সঠিক অস্ত্রোপচারের চিকিত্সার প্রয়োজন হতে পারে। 

2. আপনি অস্ত্রোপচার ছাড়া একটি হার্ট ব্লকেজ পরিষ্কার করতে পারেন?

লাইফস্টাইল পরিবর্তন, ওষুধ এবং এনজিওপ্লাস্টির মতো কিছু পদ্ধতি হার্ট ব্লকেজ পরিচালনা করতে সাহায্য করতে পারে, তবে সার্জারি ছাড়াই এই অবস্থা থেকে সম্পূর্ণ ত্রাণ সাধারণত নিশ্চিত করা যায় না। কিছু ক্ষেত্রে, বিকল্প থেরাপিগুলি প্রচলিত চিকিত্সার পরিপূরক হতে পারে, তবে সঠিক চিকিত্সার জন্য একজন অভিজ্ঞ কার্ডিওলজিস্টের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।

3. কতটা ব্লকেজ স্বাভাবিক?

ধমনী ব্লকেজের স্বাভাবিক মাত্রা পরিবর্তিত হতে পারে, তবে 50% অবধি অবরোধ একটি সাধারণ পরিসরের মধ্যে বিবেচনা করা যেতে পারে। যাইহোক, সঠিক মূল্যায়নের জন্য একজন অভিজ্ঞ কার্ডিওলজিস্ট দ্বারা পৃথক স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং ঝুঁকির কারণগুলি মূল্যায়ন করা উচিত।

4. ওষুধ দিয়ে কি 90% হার্ট ব্লকেজ সারানো যায়?

নং 90% ব্লকেজ ওষুধ দিয়ে নিরাময় করা যায় না। 90% ব্লকেজের চিকিৎসার জন্য অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি বা বাইপাস সার্জারির মতো আক্রমণাত্মক পদ্ধতি প্রয়োজন। ব্যক্তিগত পরামর্শের জন্য একজন অভিজ্ঞ কার্ডিওলজিস্টের সাথে পরামর্শ করুন।  

5. 50% হার্ট ব্লকেজের জন্য কি স্টেন্টের প্রয়োজন হয়?

50% হার্ট ব্লকেজের জন্য স্টেন্ট ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত ব্যক্তির লক্ষণ এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে। ব্যক্তিগত পরামর্শের জন্য কার্ডিওলজিস্টের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। 

 

হার্ট অ্যাটাক হলে কী করবেন? জেনে নিন প্রাথমিক চিকিৎসা


প্রিয়জনের, কাছের মানুষের হঠাত্ হার্ট অ্যাটাক হলে অনেকেরই মাথা কাজ করে না। অথচ এই সময়ই মাথা ঠান্ডা রাখা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। ঠান্ডা মাথায় রোগীকে যতটা ফার্স্ট এড দিতে পারবেন ঝুঁকি তত কমবে। এই সময় ঘাবড়ে গিয়ে দেরি করে ফেললে কিন্তু বিপদ আরও বাড়বে। জেনে নিন কী করবেন জরুরি সময়ে।


প্রিয়জনের, কাছের মানুষের হঠাত্ হার্ট অ্যাটাক হলে অনেকেরই মাথা কাজ করে না। অথচ এই সময়ই মাথা ঠান্ডা রাখা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। ঠান্ডা মাথায় রোগীকে যতটা ফার্স্ট এড দিতে পারবেন ঝুঁকি তত কমবে। এই সময় ঘাবড়ে গিয়ে দেরি করে ফেললে কিন্তু বিপদ আরও বাড়বে। জেনে নিন কী করবেন জরুরি সময়ে।

কী ভাবে বুঝবেন হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কিনা-

হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ-

১। বুকে ক্রমাগত ব্যথা, ছড়িয়ে পড়তে পারে চোয়াল, কাঁধ, দাঁত, গলা, হাতে।

২। হঠাত্ পালস রেট খুব বেড়ে যাওয়া বা একেবারে কমে যাওয়া।

৩। অতিরিক্ত ঘাম

৪। বুকে মাঝখানে অস্বস্তিকর চাপ অনুভব করা, ভারী ভারী ভাব।

৫। শ্বাস ছোট হয়ে আসা।

৬। মাথা ঘোরা, জ্ঞান হারানো।

৭। বমি বমি ভাব।

এই অবস্থায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জরুরি। অবিলম্বে অ্যাম্বুলেন্স কল করুন বা ডাক্তারকে ফোন করুন। বাড়িতে নিজের গাড়ি থাকলে নিজেরাও নিয়ে যেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন যেন রোগীর সঙ্গে সারাক্ষণ কেউ থাকে।

অ্যাম্বুলেন্স বা ডাক্তার আসার আগে কী ভাবে ফার্স্ট এড দেবেন-

১। প্রথমেই রোগীকে রিল্যাক্সড অবস্থায় নিয়ে আসুন। দেওয়ালে হেলান দিয়ে মাটিতে বসান। ঘাড়, মাথা কাঁধ হেলান দিয়ে হাঁটু মুড়ে রোগীকে বসালে রক্তচাপ কমবে।

২। রোগীর যদি অ্যাসপিরিনে অ্যালার্জি না থাকে তবে অ্যাসপিরিন দিন। এই সময় ৩০০ গ্রাম অ্যাসপিরিন চিবিয়ে খেতে পারলে ধাক্কা অনেকটাই সামলানো যাবে।

৩। এই সময় রোগী শক পেতে পারেন। জীবনের ঝুঁকি রয়েছে বুঝতে পারলে শক পাওয়া খুব স্বাভাবিক।

৪। ক্রমাগত শ্বাস, পালস রেট ও রোগী কেমন সাড়া দিচ্ছেন তা চেক করতে থাকুন।

৫। রোগী যদি অজ্ঞান হয়ে যায় তবে সিপিআর-এর সাহায্য নিন।


 

Heart Healthy Foods: হার্টের রোগ কাছে আসার সাহস পাবে না, ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শে এই ৫ দেশি খাবার খান



Best Foods For Heart Health: হার্ট ভালো রাখতে হবে। নইলে কম বয়সেই জাপটে ধরতে পারে হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack), অ্যারিদমিয়া (Arrhythmia) সহ অন্যান্য রোগ। এই অসুখ থেকে বাঁচতে আপনাকে অবশ্যই খেতে হবে সবুজ শাক, প্রোটিন ইত্যাদি। কী খাবেন? আসুন জানা যাক।

heart healthy foods know best foods for heart health from dietitian eeshanee gangopadhyay
Heart Healthy Foods: হার্টের রোগ কাছে আসার সাহস পাবে না, ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শে এই ৫ দেশি খাবার খান

Heart Healthy Diet: হার্ট আমাদের খুবই জরুরি এক অঙ্গ। তাই হৃৎপিণ্ডের ঠিকমতো খেয়াল না রাখতে পারলে অনেক সমস্যাই দেখা দিতে পারে। যেই গতিতে হার্টের রোগ বাড়ছে, তাতে প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই সতর্ক হয়ে যাবে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগটা হল প্রাণঘাতী। সচেতন থাকার চেষ্টা করুন। বিশেষত, এমন খাবার পাতে রাখার চেষ্টা করুন যা খেলে হার্ট ভালো থাকতে পারে (Heart Healthy Foods)।

চারিদিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন যে হার্টের রোগ কতটা বেড়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack)। আগে যেখানে কম বয়সে এই সমস্যা দেখা যেত না, সেটাই এখন হচ্ছে। ৩০-এর পরও বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর শুধু আক্রান্ত হচ্ছেন না, পাশাপাশি প্রাণও যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের হার্ট নিয়ে সতর্ক না হতে পারলে যে বড়সড় বিপদ অপেক্ষা করে থাকে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

এই প্রসঙ্গে অ্যাপোলো ২৪*৭ ডা: উৎস বাসু'স ক্লিনিকের প্রধান পুষ্টিবিদ ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমাদের খাবারদাবারের এক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রয়েছে। খাবার ঠিক থাকলে এই অসুখকে অনায়াসে মাত দেওয়া যায়। তাই হার্টের জন্য ডায়েটে (Heart Healthy Foods) মন দিতে হবে।

বাইরের খারাপ খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিন। বরং পাতে রাখুন কিছু এমন খাবার যা সমস্যা দূর করে দিতে পারে। এবার থেকে এই বিষয়টা মাথায় রাখতে চেষ্টা করুন।

​১. পালং শাক হার্টের জন্য ভালো (Spinach)

​১. পালং শাক হার্টের জন্য ভালো (Spinach)

পালং শাক হল দারুণ এক খাবার। এই খাবারটি আপনি নিয়মিত খেতে পারেন। এই খাবার খেলে শরীরে অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা দূর হয়ে যায়। এই শাকে থাকা ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরল LDL কমায়। ফলে সুস্থ থাকে হার্ট। তাই চিন্তার কারণ নেই। রোজ এই শাক খান। তবে রান্না করুন কম তেলে।


​২. মাছ খান হার্ট ভালো রাখতে (Fish)

​২. মাছ খান হার্ট ভালো রাখতে (Fish)

ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আসলে হার্ট ভালো রাখতে চাই ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এবার দেখা গিয়েছে যে মাছের মধ্যে ভালো পরিমাণে এই ফ্যাট রয়েছে। এক্ষেত্রে রুই, কাতলা, পলপ্লেট খেতে পারেন। তবে বড় মাছ খাবেন না। বরং খেতে হবে ২ কেজি ওজনের কম মাছ। এছাড়া খেতে পারেন বিদেশি স্যালমন মাছ।


৩. কুমড়োর বীজ হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী (Pumpkin Seeds)

​৩. কুমড়োর বীজ হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী (Pumpkin Seeds)

কুমড়োর বীজ আমরা খেতে চাই না। তবে এই খাবারে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে ফাইবার। এছাড়াও আছে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এই ফাইবার কিন্তু কমিয়ে দিতে পারে হার্টের রোগের আশঙ্কা। তাই আপনাকে অবশ্যই এই খাবারটি নিয়মিত খেতে হবে। সেক্ষেত্রে এই বীজ শুকিয়ে নিয়ে রান্না করে খেতে পারেন।


​৪. আখরোট ও কাঠবাদাম ভালো হার্টের জন্য (Almond, Walnuts)

​৪. আখরোট ও কাঠবাদাম ভালো হার্টের জন্য (Almond, Walnuts)

ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, অনেকেই ভাবেন, ওয়ালনাট বা আখরোট খেলে বুঝি ফ্যাট বাড়বে। কথাটা কিছুটা সত্যি। তবে দেখা গিয়েছে যে এই খাবারে রয়েছে ভালো ফ্যাটি। অর্থাৎ ওমেগা থ্রি ফ্যাট রয়েছে এই খাবারে। ফলে এই খাবার খেলে শরীরে ভালো ফ্যাট বাড়ে। উলটে হার্টের ভালো হয়।


​৫. হলুদ ভালো হার্টের জন্য (Turmeric)

​৫. হলুদ ভালো হার্টের জন্য (Turmeric)

ঈশানী গঙ্গোপাধ্যায় জানান, আমাদের হাতের কাছে থাকা হলুদ কিন্তু অনেক সমস্যা কমিয়ে দিতে পারে। এরমধ্যে থাকা কারকিউমিন নামক যৌগটি কিন্তু বহু হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। হার্টের উপর চাপ কমাতে পারে এই যৌগ। এছাড়া জিরে, ধনে, রসুনও হার্টের জন্য কার্যকরী।


বিদ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

 

Oils for Heart Patients: হার্টের রোগীরা কী তেল খাবেন, কতটা খাবেন? উত্তরে বিশিষ্ট চিকিৎসক


Heart-Healthy Oils: হৃদরোগের আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এখন বাড়ছে। এক্ষেত্রে ৩০ বছর বয়সের পর থেকেই এখন হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) থেকে শুরু করে হৃদপেশি পুরু হয়ে যেতে পারে। এমন ক্ষেত্রে হার্টের রোগীদের তেল খাওয়া নিয়ে সতর্ক হতে হবে। সেক্ষেত্রে কোন তেল খাবেন, কতটা খাবেন, এই বিষয়গুলি জানতে হবে। তবেই ভালো থাকতে পারবেন।

which oil is best for heart patients and how much one can consume know heart disease diet from doctor rudrajit pal
Oils for Heart Patients: হার্টের রোগীরা কী তেল খাবেন, কতটা খাবেন? উত্তরে বিশিষ্ট চিকিৎসক

হার্টের অসুখ এখন বাড়ছে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে বহু সাধারণ মানুষ এই অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে শুধু আক্রান্ত হচ্ছেন বললে ভুল বলা হয়ে যাবে, সেক্ষেত্রে প্রাণহানীও ঘটছে।

এবার হার্টের অসুখে (Heart Disease) আক্রান্ত মানুষকে জীবনে অনেক নিয়ম মেনে চলতে হবে। এক্ষেত্রে হার্টের রোগীদের তেল (Oils for Heart Patients) খাওয়া নিয়েও বাধা নিষেধ থাকে। তাই এই বিষয়টি মাথায় রাখা দরকার। তবে সেই বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলা যাবে। প্রথমে বিশেষজ্ঞের থেকে জেনে নেওয়া দরকার এই রোগের প্রবণতার বিষয়টি সম্পর্কে। এই প্রসঙ্গে আমাদের জানালেন কলকাতার আমরি হাসপাতালের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: রুদ্রজিৎ পাল। তিনি বলেন, আগে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেশি বয়সে হার্টের রোগ দেখা যেত। তবে এখন অনেক কম বয়স থেকেই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এক্ষেত্রে ৩০ বছর বয়সের পরও এমন অনেক মানুষ দেখি যাঁরা এই সমস্যায় ভুগছেন। তাই সতর্ক হয়ে যেতে হবে।

এক্ষেত্রে মূলত দেখা যায় ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ। হার্টের করোনারি আর্টারিতে বাধা তৈরি হয়। এবার ঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নিলে হতে পারে হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack)। এছাড়া আরও একটি রোগ দেখা যায়। এই সমস্যার নাম হল হাইপারট্রফি। এই রোগের ক্ষেত্রে হৃদপেশি পুরু হয়ে যায়। তাই সতর্ক হয়ে যান।

এবার দেখা গিয়েছে যে এই রোগে আক্রান্ত মানুষের তেল (Oils for Heart Patients) নিয়ে কিছু বিষয় মানতে হয়। তাই সতর্ক হয়ে যান।

হার্টের রোগের লক্ষণ

​হার্টের রোগের লক্ষণ

এবার দেখা গিয়েছে যে হার্টের রোগের বিভিন্ন লক্ষণ থাকে (Heart Disease Symptoms)। এক্ষেত্রে ভারী কাজ করতে গিয়ে হাঁফ ধরা, একটু হাঁটলেই বুকে ব্যথা হতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যথাটা বুকের মাঝে হয়। আর সবথেকে বড় কথা, এই ব্যথা অনেক সময় বাঁ হাতের দিকে চলে যায়।


​কেন হার্টের রোগীদের তেল নিয়ে এত মানামানি?

​কেন হার্টের রোগীদের তেল নিয়ে এত মানামানি?

ডা: রুদ্রজিৎ পাল বলেন, আসলে তেল বেশি খেলে শরীরে বাড়ে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডস। এবার কোলেস্টেরল বেশি থাকার অর্থ হল, শরীরের বিভিন্ন রক্তনালীতে জমতে পারে এই পদার্থ। এক্ষেত্রে হার্টেও জমা সম্ভব। তাই এই রোগে তেল খাওয়ার উপর একটু নিষেধাজ্ঞা থাকে।


​হার্টের রোগীরা কোন তেল খাবেন? কতটা খাবেন?

​হার্টের রোগীরা কোন তেল খাবেন? কতটা খাবেন?

ডা: রুদ্রজিৎ পাল জানালেন, হার্টের রোগীরা খেতে পারেন (Heart-Healthy Oils) সরষের তেল, সানফ্লাওয়ার অয়েল, সোয়াবিনের তেল, অলিভ তেল ইত্যাদি। আর খাবেন না পাম তেল, বনস্পতি, মাখন, ঘি। এছাড়া বলা হয়ে থাকে যে একজন হৃদরোগী মাসে মোটামুটি ৫০০ থেকে ৭০০ এমএল তেল খেতে পারেন। তবেই ভালো থাকতে পারবেন।


আর কী বারণ?

​আর কী বারণ?

এই রোগীদের কয়েকটি খাবার বারণ থাকে। যেমন- আপনি রেডমিট যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এছাড়া বাইরের খাবার কিন্তু খাওয়া চলবে না। সেক্ষেত্রে যতটা সম্ভব এড়িয়ে যেতে হবে এই খাবার। এছাড়া আপনার মাথায় রাখতে হবে যে এই রোগীদের বেশি তেল, মশলা, নুন থেকে দূরে থাকতে হবে। তাই সতর্ক হয়ে যান।


হার্টের রোগীরা ব্যায়াম করতে পারেন?

​হার্টের রোগীরা ব্যায়াম করতে পারেন?

ডা: রুদ্রজিৎ পাল জানান, রোগ যখন গুরুতর আকার নেয়, সেই সময় ব্যায়াম করার প্রয়োজন নেই। এই সময়ে ব্যায়াম করলে সমস্যা বাড়ে। বরং অসুখ কিছুটা নাগালে আসলে মানুষ ব্যায়াম করবেন। তবে সেক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন। নইলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বিদ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।