Health Tips

টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর পার্থক্য

0

 

টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস এর পার্থক্য

ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ যা একবার হলে মৃত্যু পর্যন্ত এই রোগকে নিয়ে বয়ে বেড়াতে হয়। এই ডায়াবেটিস মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে। এগুলো হলো টাইপ ১ ডায়াবেটিস, টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং প্রেগন্যানসি ডায়াবেটিস। আমাদের দেশের ৯৫ ভাগ রোগীই টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। আসুন জেনে নেই এই রোগটি নিয়ে বিস্তারিত কিছু তথ্য।


স্বাস্থ্য সময় ডেস্ক

২ মিনিটে পড়ুন

ডায়াবেটিস রোগটি ইনসুলিনের সঙ্গে সম্পর্কিত। আমাদের শরীরে ইনসুলিনের কাজ হলো রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ কমানো। খাওয়ার পর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। ইনসুলিন এই মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে।

যখন শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায় বা ইনসুলিন যখন আমাদের শরীরে ঠিক মতো কাজ করতে পারে না তখন শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়াকেই চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় বলা হচ্ছে ডায়াবেটিস।

আরও পড়ুন: নারী না পুরুষ, মাইগ্রেনের ব্যথা কাদের বেশি হয়?

প্রেগন্যানসি ডায়াবেটিস মূলত নারীদের গর্ভাবস্থায় দেখা দেয়। তাই ডায়াবেটিস মূলত দুই ধরনেরই বলা যায়। একটি হলো টাইপ ১ ডায়াবেটিস আর অন্যটি হলো টাইপ ২ ডায়াবেটিস।

টাইপ ১ ডায়াবেটিস সাধারণত টাইপ ২ ডায়াবেটিস থেকে তুলনামূলক কম হয়ে থাকে। একে জুভেনাইল ডায়াবেটিসও বলা হয়। কারণ সাধারণত যাদের অল্প বয়সে ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তাদের মাঝেই টাইপ ১ ডায়াবেটিস হওয়ার প্রবণতা বেশি লক্ষ করা যায়।

টাইপ ১ ডায়াবেটিসকে অটোইমিউন রোগ বলা হয়। অগ্ন্যাশয়ে অবস্থিত ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে যখন মানুষের শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়, চিকিৎসকরা এই অবস্থাকে বলছে টাইপ ১ ডায়াবেটিস।

টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয়ে অবস্থিত ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। তবে শরীর ইনসুলিন গ্রহণে বাধা দেয়। তাই টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা অত্যধিক হারে বেড়ে যায়।

টাইপ ১ ডায়াবেটিস মূলত জিনগত সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই রোগটি অনেক বেশি দেখা যায়। অন্যদিকে টাইপ ২ ডায়াবেটিস খাদ্যাভ্যাস ও শরীরের ওজনের ওপর নির্ভর করে। এই রোগের লক্ষণ শরীরে ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়।

আরও পড়ুন: প্লাস্টিক বোতলে পানি পান, ঠেলে দিচ্ছে জটিল রোগে!

এদিকে  আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, তিন দশক আগেও শিশু ও তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এই রোগ দেখা না গেলেও বর্তমানে এই রোগটি থেকে তারাও রেহাই পাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, এই দুই ধরনের ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে একই ধরনের উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা যায়। এগুলো হলো ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ, গলা শুকিয়ে আসা, বার বার তৃষ্ণা পাওয়া, ক্লান্ত অনুভব করা, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা, শরীরে কোনো স্থানের ক্ষত সারতে বেশি সময় নেওয়া ইত্যাদি।


0 comments:

Post a Comment